মুঙ্গের: বলা হয়, উপরের একজনের থেকে কেউ এগিয়ে যায় না। জেলার বারিয়ারপুর থানার রতনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চিরাইয়াবাদ গ্রাম থেকে এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে মিছিলের আধঘণ্টা আগে ছেলেটির বাবা মারা যান। ছোট ছেলের বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে মিছিলে মরার কথা থাকলেও মিছিলের কয়েক ঘণ্টা আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বাবা।
বিজয় শর্মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান
বিয়ের সুখ মুহূর্তের মধ্যে শোকে পরিণত হলো। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করে শোকের মাতমের পাশাপাশি এলাকায় শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। যেখানে 65 বছর বয়সী বিজয় শর্মা হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। এই সময় আত্মীয়রা জানায় যে বিজয় শর্মার ছোট ছেলে রোহিতের বিয়ে হতে চলেছে সোমবার কপুরা জেলার অন্তর্গত মহাদেব নগরের বাসিন্দা গরীব শর্মার মেয়ে রানী কুমারীর সাথে। রবিবার, সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার সাথে বিতর্কটি পরিচালিত হয়।
পরিবারের ওপর ভেঙে পড়ে দুঃখের পাহাড়
সংবাদ রিল
শোভাযাত্রার আধাঘণ্টা আগে হঠাৎ করেই বিজয় শর্মা বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং তাকে তার পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ কারণে কান্নাকাটি করে সব স্বজনদের অবস্থা খারাপ। স্বজনরা জানান, চাউকোর বিজয় শর্মা কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র সদস্য ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা পাহাড়ের মতো ভেঙে পড়ে। তার পরিবারে স্ত্রী চার মহিলাসহ চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এ ঘটনার পর বিয়ে নিয়ে বর পক্ষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে মেয়ের পক্ষের স্বজনরাও দুশ্চিন্তায় ডুবে গেছে। এ সময় ফোনালাপের সময় মেয়েটির বাবা গরীব শর্মা জানান, সোমবার বিয়ের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মিছিলের আসা-যাওয়ার জন্যও সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন বাবার মৃত্যুর পর বিয়ে বাতিল হয়ে যায়। যে ছেলের মাথায় সেহরা বেঁধে তার বাবা মিছিলে নাচতেন, আজ সে তার বাবার শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।